মতাদর্শের ক্ষেত্রে সুফিবাদ ইসলাম ধর্মেরই একটি শাখা। এমন ধারণার বিরুদ্ধে একটি মতাদর্শ বহাল থাকলেও তার অনুসন্ধান হয়েছে খুবই কম। সুফিবাদের শ্বাসমূলটা যা বলে তার ভিত্তিতে পেছনে গেলে এর একটা সুচিন্তিত মতাদর্শিক ভিত্তি পাওয়া যায় । সুফিবাদের রহস্যময়তা, পরমাত্মা, ভক্তিবাদ ইত্যাদি দ্বারা অভিহিত করা হয়। আর এইটি একেবারেই সত্য, ধর্ম হিসেবে ইসলাম ছাড়া, হিন্দু ও খ্রিস্টিয় মতবাদের মধ্যেই এই অতীন্দ্রিয়ের ধারণা আছে। সুফিবাদের ধারণা দিতে গিয়ে www.differencebetween.net— এ বলা হয়েছে: ‘Sufism is spiritual dimension of God, Man union some scholars on religion and spirituality believe Sufism is a mystical concept that predates history long before organized religion came into being. It is claimed that the idea of Sufism has been expressed by Hindu and Christian hermits and later influenced Islam.’ উপরের বর্ণনায় শুধুমাত্র হিন্দু ও খ্রিষ্টধর্মের প্রভাবের কথা বলা আছে যদিও প্রাচীনকাল থেকেই গ্রিক ও রোমান দর্শন, পারস্যের জরাস্ট্রেনিয়নে মতাদর্শের প্রভাব আছে বেশ বড় আকারেই । বিষয়টা নিয়ে একটু নাড়া দেয়া যাক।
ধর্ম হিসেবে ইসলামের উদ্ভব খ্রিস্টিয় পঞ্চম শতকে। কিন্তু ধর্মের যে মূল, অতি প্রাকৃত শক্তি তার ধারণার উন্মেষ লিখিত ইতিহাসের আগেও বর্তমান ছিল। তবে এর দার্শনিক ভিত্তিটা তৈরি করেন গ্রিক দার্শনিক ও অংক শাস্ত্রবিদ পিথাগোরাস। নৃবিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান ধর্ম নিয়ে যা বলে তা হলো, ধর্মের পরিবর্তন বা বিবর্তনের একটা ধারাবাহিকতা আছে। প্রথমত আত্মার ধারণা, আত্মার সাথে পরমাত্নার সংযোগ, আত্মার শক্তির কল্পনা, এ্যানিমিজম, এ্যানিসেটিজম (Animatism) বহু ঈশ্বরবাদ ও একেশ্বরবাদী মতবাদে উত্তরণ ধর্মালোচনায় আসে। প্রশ্ন হলো এখানে সুফিবাদের স্থান কোথায় । সুফিবাদ আগে না ধর্ম আগে। লিখিত ইতিহাসের প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে যদিও বলা হয় ইসলামের আগমন ও এর offshoot বা শাখা হিসেবে একে বলা যায় তথাপি বিতর্ক এখানে থেমে নেই । আগেই বলা হয়েছে সুফিবাদের মৌলিক বিষয় ধর্মের আগেই এসেছে । গ্রিক দার্শনিকদের কাল ছিল বস্তুবাদী। আত্মা, পরমাত্মা বা অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিলই না। সমস্ত সৃষ্টির মূল হিসেবে মাটি, অগ্নি,বায়ু ও পানির পারস্পরিক বন্ধন ও ক্রিয়া—প্রতিক্রিয়াকে উল্লেখ করতেন। কখনো অনুর ধারণাও দিয়েছেন। কখনো ভাবের কথা বলেছেন। তবে তা বস্তুর তিরোধানের সাথে সাথে অবলুপ্ত হয়। এমনই কঠোর বস্তুতান্ত্রিক পরিবেশে পিথাগোরাস সংখ্যা বা অংক শাস্ত্রের সমস্যা সমাধানে ব্রত অবস্থায় ২ এর রুট করতে গিয়ে এমন একই সংখ্যা পান ১ ও ২ এর মাঝে তবে তা অসীম। তাঁর বোধ হলো ১ ও ২ এর মাঝে এমন সংখ্যা আছে যা অসীম ও মানুষের অজ্ঞেয়। সুতরাং অসীমত্বকে ও অজ্ঞেয়র বাইরের অস্তিত্বও ২ এর মতো বাস্তব। এই অসীমত্ব, বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ডের প্রকাশ করে যা এক অসীম শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ইন্দ্রিয়ের বাইরে অতিন্দ্রিয়তা আর প্রাকৃত শক্তির বাইরেই অতি প্রাকৃতের অবস্থান। এই সংখ্যা অজানা—এক ভাব। মানুষ মরে গেলে শারীরিকভাবে দেহ লয় হয়, হয় কার্যহীন। কেন? কি সেই অস্তিত্ব যা মানুষকে জীবন্ত রাখে? সেই অস্তিত্বের স্রষ্টা কে? সেই অস্তিত্ব কি পরম অস্তিত্বের অংশ। কারণ সে অবিনশ্বর। তার লয়, ক্ষয় নেই । তার সীমা নেই। অসীম সে। সে এক পরম সত্ত্বা আর তার অংশ। অস্ট্রেলীয় আদিঅধিবাসী ভাষায় তা হলো, ‘MANA’ বা শক্তি মর্যাদা ইত্যাদি। ধর্মের আদিরূপ ‘সর্বপ্রাণবাদ’ হলো সবকিছুতেই প্রাণের আরোপ করা। পর্বত, অগ্নি, বায়ু, ইত্যাদি শক্তিরূপ কল্পনা করে তাকে পূজা করা। কালে কালে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বহুঈশ্বরবাদ ও পরে একেশ্বরবাদের জন্ম হয়। তবে এর ভিত্তি ‘আত্মার’ কল্পনা যা পরবর্তীকালে পরমাত্মার খণ্ডাংশ বলে আত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্কের নির্ণায়ক হয়। সব ধর্মেই আত্মার অস্তিত্বের ভিন্ন ভিন্ন নামে স্বীকৃতি আছে। প্রথম দিকে পরমাত্মার সন্তুষ্টির জন্য পূজা করা হলেও পরে তা ভক্তি থেকে প্রেমে নেমে আসে। আর পরমাত্মার সাথে আত্মার মিলনই হলো ধর্মের মূল উৎস—এ বক্তব্যই প্রতিষ্ঠা করে সুফিবাদের ভিত্তি। মনে রাখা প্রয়োজন এমত ধারণা ইসলাম—পূর্ব ধর্ম ও বিশ্বাসগুলোতে অস্তিত্বমান ছিল।
তবে সুফিবাদের বিতর্কে প্রধান ধারা হলো, সুফিবাদ ইসলাম ধর্মের একটি শাখা। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—এর তিরোধানের পরে প্রথম শতকেই এর উদ্ভব। আজকের সুফিসাধককের প্রায় সবাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। এ থেকেও এমত ধারণার উৎপত্তি হতে পারে। দ্বিতীয় ধারা হলো, সুফিবাদের সবচেয়ে প্রধানতম উৎপত্তিক্ষেত্র আজকের ইরান বা পারস্যে ইসলাম পূর্ব ধর্ম বিশেষ করে জরাস্ট্রেনিয়ান ধর্মমতেও আত্মার সন্নিকট লাভের বিষয়াবলি আলোচিত ছিল। এছাড়া খ্রিস্টধর্মের সন্ন্যাসব্রত ধারায় এর উপস্থিতি আছে। এমন কি পণ্ডিতদের মতে হিন্দু বা সনাতন ধর্মের এ মত বেশ প্রবলভাবেই হিন্দু ধর্মে উপস্থিত। যার offshoot বা শাখা প্রশাখা হলো বৈষ্ণব সাহিত্য, বাংলার রহস্যবাদ যার ঘনিষ্ঠতা আছে সুফিবাদের সাথে।
প্রখ্যাত সুফি সাধক ইনায়েত খান বলেন— ‘The germ of sufism is said to have existed from the beginning of the human creation, for wisdom is heritage of all, therefore no one person can be said to be its propounder. It is been revealed more clearly and spread more widely from time to time as the world has evolved’. www.sufiway,org/about-us/thearsiginsf) এখানে জ্ঞান, আত্মজ্ঞান হিসেবে চিহ্নিত। সক্রেটিস যখন know Thyself বলেন তখন মূলত নিজের গভীর আত্মার অনুসন্ধানের কথাই হয়তো বলেন।
ধর্মমত উদ্ভবের আগে আত্মার ধারণার উদ্ভবের পর। আত্মা কি? এর মৌলিকত্ম কি? পরমাত্মার সাথে মিলনের বিষয়গুলো ছিল মানুষের রহস্য জিজ্ঞসার এক অনুসঙ্গী। সুফিবাদের শেকড়টা এখানেই। ধর্ম উদ্ভবের সাথে সাথে পরমাত্মার ধারণা,সর্বশক্তিমানের বা অতিপ্রাকৃতের ধারণায় পরিবর্তিত হয়। ক্রমান্বয়ে আসে একেশ্বরবাদ। ধর্মের সাথে সাথে সামাজিক—রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনাচর—এর উদ্ভব ঘটে। আসে অনুষ্ঠান, পূজা পার্বন ইত্যাদি। ধর্ম এখন শুধুমাত্র আত্মা—পরমাত্মার সম্পর্ক নির্ণায়ক নয়, সামাজিক কাঠামোর বন্ধনে বিশ্বাস। আর এই পরিবর্তনে হারিয়ে যায়, সুফিবাদের মূল সুর, প্রেম, পরমাত্মার সাথে মিলনের প্রেম।
সুফিবাদের উম্মেষ ও বিকাশের ধারণা সমাজবিজ্ঞানী অগাষ্ট কৌৎ—এর সমাজ বিবর্তনের ত্রিধারায় ব্যাখ্যা করা যায়। তিনি মানুষের চিন্তার বিবর্তনকে তিনটি স্তরে যেমন: (১) Theological stage, (২) Metaphysical stage, (৩) Scientific stage—এ বিভক্ত করে বলেন, মানুষের চিন্তাধারা ও তার প্রয়োগের ফলে সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়। প্রাচীনকালে Theological stage এর প্রাথমিক অবস্থাকে তিনি Fetishism হিসেবে উল্লেখ করে। তাঁর বিশ্বাসে Fetishism was the primary stage of the theological stage of thinking. Throughout this stage, primitive people …. that inanimate objects have living spirit in them, also known as animism people walip inanimate objects like trees stoses, a piece of wood volcanic eruption etc. লক্ষণীয় Spirit ই হচ্ছে আত্মার প্রাথমিক ধারণা। পূজা থেকে প্রেম বা ভালোবাসার উত্তরণের ধারণাই মূলত সুফিবাদ। পরবর্তীকালে—Metaphysical stage এ এসে পরমাত্মার ধারণা অতি ইন্দ্রিয়বাদে রুপান্তরিত হয়। Metaphysics এও সুফিবাদের কিছুটা গুঢ়ার্থ রয়েছে বলে কিছু পণ্ডিতের ধারণা।
সমাজতত্ত্বের আদর্শ, ধর্মমত ও সংস্কৃতির পরিবর্তনে নৃবিজ্ঞানীদের একটি মডেল রয়েছে। সে ধারণা অনুযায়ী একটি সাংস্কৃতিক অঞ্চলের কেন্দ্র থেকে ঐ সংস্কৃতি যতই দূরে বিকিরিত হয় ততই তার কেন্দ্রের বৈশিষ্ট্য হারাতে থাকে। এক্ষেত্রে দূরবর্তী অঞ্চলের সংস্কৃতি, কেন্দ্রের সংস্কৃতি সাথে মিলে মিশে এর নতুন সংস্কৃতির জন্ম দেয়। একে Distance theory of culture হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। যদি তাই হয় তাহলে ইসলামের উদ্ভব ও বিকিরণে যতই দূরবর্তী অঞ্চলের বিস্তৃতি হয়েছে ততই দূরবর্তী সংস্কৃতির সাথে লেনদেনে ইসলামের এক নয়া স্থানীয় রূপ গ্রহণ করেছে। আরব বিশ্বের ইসলাম পারস্যে বা আজকের ইরানে এসে সামাজিক লেনদেন বা এর মাধ্যমে পারস্যের বিশ্বাস ও আচার সম্পৃক্ত হয়ে তার বিস্তার হয় ভারতে। পারস্যে জরাথুস্ট্রবাদ ও অন্যান্য অতি ইন্দ্রিয় বিশ্বাসগুলো ইসলামে গেঁথে যায় ভালোভাবে। সামাজিক আচার ও অতি ইন্দ্রিয়বাদ মিলে হয় সুফিবাদ যা ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচারের বিশেষ সোপান হয়ে ওঠে। আর একটি মতবাদ আছে তা হলো কোনো সংস্কৃতি বা বিশ্বাস যতই পুরনো হতে থাকে, ততই তার মৌলিকত্ব হারাতে থাকে। খ্রিষ্ট ধর্ম, ইহুদি ধর্ম যখন যিশু খ্রিষ্ট বা হজরত মুসা আলাইহিস সালাম কর্তৃক প্রচারিত হতে থাকে তখন এর ভগ্নাংশ ছিল না। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই বিভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড়িয়ে এর বহুধা Sect বা অংশে বিভক্ত হয়। আজ ভারতবর্ষে ইসলামের বহু মাত্রিক ব্যাখ্যা ও সেকশনে বিভক্ত। তবে লোকাচারি ইসলাম (Folk Islam) বা সুফিবাদ জনমানুষের প্রধান অবলম্বন বলেই মনে হয়। এইই হলো Age Theory of Culture বা সংস্কৃতির সময় তত্ত্ব।
কোনো সংস্কৃতি যতই পুরনো হতে থাকে ততই তার মৌলিকত্ব হারাতে থাকে। এর কারণ কালে কালে জন্ম নেয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক পারিপাশ্বির্কতার কারণে নতুনভাবে তর বর্ণন। এছাড়া ভৌগলিক পরিবেশে সঞ্জাত নানারকম আচার—অনুষ্ঠান বিকিরিত (Diffused) সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলে থাকে। সুফি মতাদর্শের উদ্ভব ও তার নানা রকমফের বোঝার জন্য সামাজিক ইতিহাসের শরণাপন্ন না হয়ে উপায় নেই।
ষষ্ঠ শতাব্দীর ইসলাম ধর্মমতের উদ্ভব ও প্রসারের এবং রাজনৈতিক কালপঞ্জি বিবেচনায় নিলে সুফিবাদের বৈশিষ্ট্যগুলো জানা যাবে। একথা অনেক পণ্ডিতই বলে থাকেন যে, সুফিবাদের কিছু ধারণা পাগান মতবাদেও (Paganism) ছিল, শুধু তাই নয় তা ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক সময়েও অস্তিত্বমান ছিলো তবে তা ইসলামের মূলস্রোতের কাছে ম্রিয়মাণ ছিল। ইসলামের মূল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু যদি হয় মক্কা বা মদিনা তাহলে তার প্রসারের সময় প্রান্তীয় সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়া সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট নিয়ে আসবে এইটে স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। ভারতবর্ষ মূলত আক্রান্ত ও পরাভূত হয়েছে মধ্য এশিয়া থেকে আগন্তুকের দ্বারা। এঁরা আরব ছিলেন না। পারস্যে ছিল এক উন্নত ও সাংস্কৃতিক মন্ডল। জরাথুস্ট্র প্রচারিত ধর্মমত ‘জরাথুস্ট্রবাদ’ বা বহাল ছিল। এ ধর্মমতের বড় বৈশিষ্ট্য শারীরিক দ্বৈত মতবাদ। শরীর ও মন বা আত্মা যা শরীরকে কর্মঠ রাখে। সুফিবাদ সারা পৃথিবী সর্ব অঞ্চলেই ব্যাপ্ত। কখনো তা খ্রিষ্ট ধর্মের প্রলেপে কখনো বা হিন্দু ধর্মের বা ইসলামের প্রলেপে। যে কারণে সুফিবাদের গূঢ়ার্থ খুঁজে নিতে কষ্ট হয়।
জরাথুস্ট্র প্রচারিত ধর্মমত ‘জরাথুস্ট্রবাদ’ বা বহাল ছিল। এ ধর্মমতের বড় বৈশিষ্ট্য শারীরিক দ্বৈত মতবাদ। শরীর ও মন বা আত্মা যা শরীরকে কর্মঠ রাখে। সুফিবাদ সারা পৃথিবী সর্ব অঞ্চলেই ব্যাপ্ত। কখনো তা খ্রিষ্ট ধর্মের প্রলেপে কখনো বা হিন্দু ধর্মের বা ইসলামের প্রলেপে। যে কারণে সুফিবাদের গূঢ়ার্থ খুঁজে নিতে কষ্ট হয়।
ভারতবর্ষে এখন সুফিবাদ বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় বিভক্ত। পিরবাদ ভক্তিবাদ সুফিবাদের মৌলিক বিশ্বাসকে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতারণা ও বাণিজ্য নির্ভর করে তুলেছে। সুফিবাদের মৌলিক শ্বাসটা যেন ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।
সারা পৃথিবীর ধর্মমতগুলোর ঐক্যের সূত্র হতে পারতো সুফিবাদ বা অতি ইন্দ্রিয়বাদ। আচার যখন ইশ্বরের নৈকট্যের চেয়ে বেশি সামাজিক হয়ে ওঠে তখন সম্প্রদায়গুলো বিভক্ত হয়, সাম্প্রদায়িকতা জন্ম নেয়। সুফিবাদ হতে পারতো Folk Religion হিসেবে সাম্প্রদায়িক ঐক্যের মূল যদি তার চর্চা নিখাদ থাকে।
(মূল প্রবন্ধ থেকে সংক্ষিপ্ত করা হয়)
কৃত: ড. ওবায়দুল করিম
সমাজ বিজ্ঞানী | অধ্যাপক, (অব.) সমাজতত্ত্ব বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়