কেন কুরআন বোঝাটা জরুরী?
হেদায়েতের বা পথপ্রদর্শনের মহাগ্রন্থ আল কুরআন। মানবজীবনকে সকল পথে, সকল উপায়ে, সকল মাত্রায় আলিঙ্গন করে, নিকষিত, বিকশিত ও বিভূষিত করে কুরআনের শিক্ষা। সত্যের সন্ধান করা এবং সত্যের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা মানুষের চিরায়ত অভ্যাস। মানুষের সামনে কিছু জিজ্ঞাসা এমন থেকেছে যার সমাধানে সে সর্বদা সংগ্রাম করে চলেছে। যেমন, তার নিজের অস্তিত্ব, বিশ্বজগতের…
প্রত্যেক প্রেমময় মানুষের মন আছে। আর এই মনের স্বাস্থ্যই হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য একটি “ভারসাম্যমূলক আধ্যাত্মিক জীবন”যাপন করা প্রয়োজন। আর এই প্রয়োজনকেই পবিত্র কুরআন এর আলোকে, সুফিবাদের ভাবধারায় পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছেন খাজা ওসমান ফারুকী তার প্রকাশিত গ্রন্থ “সুফি মেডিটেশন” এ।
বইটির পাঠ সহজবোধ্য। আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে শান্তির অণ্বেষণ করবার প্রক্রিয়া যেমনি ব্যাখা…
মতাদর্শের ক্ষেত্রে সুফিবাদ ইসলাম ধর্মেরই একটি শাখা। এমন ধারণার বিরুদ্ধে একটি মতাদর্শ বহাল থাকলেও তার অনুসন্ধান হয়েছে খুবই কম। সুফিবাদের শ্বাসমূলটা যা বলে তার ভিত্তিতে পেছনে গেলে এর একটা সুচিন্তিত মতাদর্শিক ভিত্তি পাওয়া যায় । সুফিবাদের রহস্যময়তা, পরমাত্মা, ভক্তিবাদ ইত্যাদি দ্বারা অভিহিত করা হয়। আর এইটি একেবারেই সত্য, ধর্ম হিসেবে ইসলাম ছাড়া, হিন্দু ও খ্রিস্টিয়…
[সারসংক্ষেপ : কোরআন এবং হাদিসের নির্যাস হলো শরিয়ত এবং সুফিবাদ। শরিয়ত এবং সুফিবাদ পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত দু’টি বিষয়। এদের একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি অর্জন অসম্ভব। মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছার প্রথম ধাপ শরিয়ত হলে চূড়ান্ত পর্যায় হবে সুফিবাদ। পৃথিবীতে প্রেরিত সকল নবি—রাসুলগণই শরিয়তের সকল বিধিবিধান পুঙ্খানুপঙ্খভাবে মেনে চলে সুফিবাদের অনুশীলনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। কোরআনের বহুস্থানে শরিয়ত এবং আধ্যাত্মিকতা…
জন্ম, জীবন, মৃত্যু এই তিনেই বাঁধা আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের চিন্তা—চেতনা। জন্মের উপর আপনার হাত নেই, মৃত্যুটাও অনিশ্চিত। জন্মের পর ধীরে ধীরে কেটে যেতে থাকে বরাদ্দকৃত জীবন। ওয়ান ওয়ে টিকেটে চলছি অনিশ্চিত ব্যপ্তির নিশ্চিত গন্তব্যের দিকে, সেটা নিশ্চিত মৃত্যু।
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক…
সুফিরা যে জগতে ডুবে থাকেন এবং স্রষ্টার সাথে তাঁদের যেভাবে যোগাযোগ হয়, তার মাধ্যমে তাঁরা সত্যে উপনীত হন। আর আমরা বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা—নিরীক্ষা, নানান রকম যাচাই—বাছাই করে, এখানে ওখানে, লন্ডনে, দিল্লিতে, মস্কোতে একই জিনিস পরখ করে তারপর একটা সত্যে উপনীত হই।
অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার যে, বহুক্ষেত্রে আমরা বিজ্ঞানীরা যে সত্যে উপনীত হই, সুফিরা তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে…