যদি মানবজীবন একটি গল্প হয়, আধ্যাত্মিকতা (আত্মার অভিজ্ঞতা) তার সারাংশ; ধর্ম যদি ফুল হয় তবে আধ্যাত্মিকতা তার সুবাস। একটি ফুলের মাত্রা আছে কিন্তু এর সুবাস মাত্রাহীন। যখন একজন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা থাকে তখন সে আর ভেদাভেদ বা বৈষম্য করে না। তিনি মতাদর্শের মাত্রার ঊর্ধ্বে উঠে সমস্ত মানবজাতিকে ভালবাসেন।
আমরা সকলেই ভ্রাতৃপ্রেম চাই, আমরা সকলেই আমাদের সম্প্রদায়ে, সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই, আমরা ঐক্য চাই, কিন্তু আমরা যা দেখি তা হল মানবজাতি অন্য দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঐক্যের পরিবর্তে সর্বত্র বিভক্তি । মানবজাতি প্রেমের শক্তি পরিত্যাগ করেছে। আমাদের উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিকতা প্রচার করা, যা সমস্ত ধর্মের ভিত্তি। এটি সবকিছুর সারমর্ম।
সভ্যতার আদি থেকে মানুষ তার জীবনের উন্নতির স্বপ্ন দেখে আসছে। আর সেই স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য সে প্রয়োগ করে আসছে নানা মতবাদ,পদ্ধতি, নীতি ও আদর্শের। কিন্তু কখনোই সে পূর্ণ সাফল্য ও তৃপ্তি পায়নি। কোনও সমাজনীতি, কোনও রাজনীতি বা কোনও অর্থনীতি পারেনি তাকে তার দুঃখ, যন্ত্রনা ও দারিদ্র্য থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি দিতে। তার সমস্ত চেষ্টাই বারবার অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন এই ব্যর্থতা?
এই ব্যর্থতার কারণ বোঝার জন্য আমাদের পৌঁছোতে হবে অস্তিত্বের গভীরে। এজন্যই সুফি সেন্টার।
তাসাউফ বা সুফিভাবাদর্শ ইসলামের একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত শাখা। এই শাখাটি ধর্মের গভীর রহস্যের অনুসন্ধান করে, জীবনের সঙ্গে ধর্মের মৌল সম্পর্কটুকু বজায় রেখে জীবনের উৎকর্ষসাধনই এখানে মুখ্য।