সুফি সেন্টার জীবনকে জানার অনন্য মাধ্যম
সুফি সেন্টার জীবনকে জানার অনন্য মাধ্যম
এসেছো যারা আসোনি যারা, হয়ে পথহারা, তোমাদের সবার নিমন্ত্রণ।
খাজা ওসমান ফারুকী
প্রতিষ্ঠাতা, সুফি সেন্টার
বিজ্ঞান দিয়ে শরীরকে জানা যায়, জীবনকে নয়। কারণ জীবন এক রহস্য। একে জানা যায় না, অনুভব করা যায়। জীবন কোনো সমস্যা নয়, জীবন এক চ্যালেঞ্জ। এ এক দুঃসাহসিক যাত্ৰা (adventure) অজানার উদ্দেশ্যে। যাত্রাপথের বাহন হচ্ছে সুফি সেন্টার।
তাসাউফ বা সুফিভাবাদর্শ ইসলামের একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত শাখা। এই শাখাটি ধর্মের গভীর রহস্যের অনুসন্ধান করে, জীবনের সঙ্গে ধর্মের মৌল সম্পর্কটুকু বজায় রেখে জীবনের উৎকর্ষসাধনই এখানে মুখ্য।
সভ্যতার আদি থেকে মানুষ তার জীবনের উন্নতির স্বপ্ন দেখে আসছে। আর সেই স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য সে প্রয়োগ করে আসছে নানা মতবাদ,পদ্ধতি, নীতি ও আদর্শের। কিন্তু কখনোই সে পূর্ণ সাফল্য ও তৃপ্তি পায়নি। কোনও সমাজনীতি, কোনও রাজনীতি বা কোনও অর্থনীতি পারেনি তাকে তার দুঃখ, যন্ত্রনা ও দারিদ্র্য থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি দিতে। তার সমস্ত চেষ্টাই বারবার অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন এই ব্যর্থতা?এই ব্যর্থতার কারণ বোঝার জন্য আমাদের পৌঁছোতে হবে অস্তিত্বের গভীরে।
যখনই অস্তিত্বের গভীরে ডুব দেওয়ার কথা আসে তখনই মেডিটেশন, ধ্যান বা মুরাকাবা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
মানুষের অস্তিত্বের মূল সংকট হলো মূলত সমন্বয়ের অভাব! সমন্বয়ের অভাব— চাহিদা ও উৎপাদনে, বাসনা ও প্রয়োজনে, ঘৃণা ও ভালোবাসায়, স্বার্থপরতা ও উদারতায়, সত্য ও মিথ্যায়, নিশ্চয়তা ও অনিশ্চয়তায়। এখন প্রশ্ন হলো, সত্যিই কি আমরা এই জীবন কামনা করি, নাকি এ থেকে বেরিয়ে এসে আরেকটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে চাই? আর তা গড়ে তুলব কিভাবে?
যে সকল সমস্যা মানবজাতিকে অস্বস্তিতে রাখে তাদের সমাধান সম্ভব কেবলমাত্র অন্তরের ওপর বিজয়ের মাধ্যমেই। আধুনিক বিশ্বে সকল কিছুর প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও মানুষ ক্রমশঃ নিঃসঙ্গতার দিকে এগিয়ে যায়। এই বিরান মরুভূমি থেকে মানুষকে সবুজ ও সতেজ দুনিয়ায় ফিরিয়ে আনতেই সুফি সেন্টার এর অপরিহার্যতা।
ভালো মানুষ হওয়ার জন্য সবার আগে প্রয়োজন আত্মার সংশোধন। আত্মার সংশোধন ছাড়া দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ লাভ করা সম্ভব নয়। যার অন্তর সংশোধন হয়ে যায়, সে-ই প্রকৃত সফল। কিন্তু আত্মশুদ্ধির পথে রয়েছে নানান তরীকা। সঠিক তরীকা খুঁজে না পাওয়ার ফলে মানুষ অন্তরকে জীবন্ত করার বদলে মেরে ফেলে। কোন তরীকাটি সঠিক সাধারণ মানুষের জন্য তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। এই কঠিন কাজটি সহজ করে সুফি সেন্টার
ইলমে তাসাউওফ’-এর পরবর্তী দার্শনিক নামকরণ বা প্রকাশ্য পরিচিতি-ই সুফিদর্শন বা তত্ত্ব যা ইতিহাস পরিক্রমায় নানান বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়। সুফি দর্শনের ঐতিহ্য ঐকমত্য বর্তমানে অনেকের ধারণায় যেন শুধুমাত্র নামে আছে, কামে নাই। সত্যি কী তা-ই?
এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই সুফি সেন্টার।
পার্থিব ভোগসুখে মানুষ বড় ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়, পরিশেষে সত্য পথ ভুলে হয় বিভ্রান্ত ও সত্য বিমুখ। দুনিয়ার মোহগ্রস্ততা ও চাকচিক্যময় আকর্ষণে বিমুগ্ধ-বৈরী নফসকে পোষ মানিয়ে চিত্ত শুদ্ধিক্রমে ধ্যান-মোরাকাবায় জ্ঞানযোগে ফানা-বাকা-র দুর্গম পথ পরিক্রমণ করত সুফিগণ ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ খাঁটি মানবে (ইনসান-এ কামিল) পরিণত হন। তাই শুদ্ধ মানুষ হওয়ার পথের বাঁকে বাঁকে আপনাকে সবসময়ই সহযোগিতা করবে সুফি সেন্টার।
সুফি সেন্টার আপনার জীবনে আনতে পারে উচ্চতর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা, পরম আনন্দ, আলো, সন্তুষ্টি এবং শোকরিয়া। এখানকার প্রত্যেকটি পাঠ আপনার জীবনের ভুলগুলোকে শুধরে দেবে। সুফি সেন্টার পরিচালিত কোর্সসমূহের মাধ্যমে যথাসময়ে আপনি একটি পথ পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে, সুফি মুরাকাবা মেথড কোর্স (সুফি মেডিটেশন) আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার দ্বার খুলে দেয়। এবং সেটিই আপনাকে আধ্যাত্মিক জগতের আরও গভীরে নিয়ে যেতে জ্বালানী যোগাবে।
রূপান্তরমূলক এই অভিযাত্রায় আমাদের সঙ্গী হোন। আধ্যাত্মিকতার আলোকচ্ছটায় আপনার জীবনের সম্ভাবনাকে উদ্ভাসিত করুন।
আমাদের গল্প
সুফি মুরাকাবা
প্রতিষ্ঠিত ২০১৯ সালে
সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশন
প্রতিষ্ঠিত ২০১৯ সালে
সুফি সেন্টার
প্রতিষ্ঠিত ২০২২ সালে
আধ্যাত্মিক জীবন ধারায় নিজেকে গড়ে তুলুন সুফিদের নির্দেশিত পথ অনুসরণের মাধ্যমে। ভিডিওচিত্রে দেখুন…
সুখী ও সমৃদ্ধময় জীবন গড়তে আমাদের সাথে যোগ দিন
জীবনের পথ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। অনেকে ব্যথা, সমস্যা ও ব্যর্থতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে না পেয়ে জীবনের আশাই ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার লজ্জা এবং নিজের প্রতি ঘৃণা বয়ে বেড়াচ্ছেন বছরের পর বছর।
পার্থিব সাফল্য থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বেঁচে আছেন গভীর শূন্যতা বুকে নিয়ে। তবে আশা আছে। আছে মুক্তির পথও। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ সততই উন্মুক্ত, আশার প্রদীপ চিরকালই দেদীপ্যমান। দুনিয়ার পথপরিক্রমায় হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি মানুষের আছে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতাও। রক্তপাত যেমন ঘটবে, তেমন সুস্থও হবো আমরা। বৈরী পরিস্থিতিতে টিকে থাকার এবং কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সাফল্য অর্জনের অলৌকিক সক্ষমতা দিয়ে আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
অন্ধকারের আবরণ ভেদ করে আলোর উদ্ভাসন দেখার, ঠান্ডায় জমে না গিয়ে উঠে দাঁড়াবার এবং বারবার ভেঙেচুরে যাওয়ার পর নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার; এমনকি বিচূর্ণ অংশগুলোতে আরো শক্ত ও মজবুত হয়ে ওঠার আল্লাহ-প্রদত্ত সম্ভাবনা দেওয়া হয়েছে মানুষকে।
জীবন বহুমাত্রিক অনুভব ও অভিজ্ঞতার সমষ্টি। এক জীবন তাই প্রকাশিত হয় বহুমাত্রায়, বহু মাধ্যমে।
জীবন অনুভূতি ও জীবন বোধ প্রকাশের যত মাধ্যম হতে পারে- কাব্য, গান, আলাপ, পাঠদান অথবা বই হতে বই কেবলই অন্বেষণ- তথ্য আর জ্ঞান; আর যত বোধের আলাপন, সবটাই চর্চিত হোক পরম যত্নে।
প্রেমের চাষাবাদ চলুক অন্তরে অন্তরে… নদীর মতো বয়ে চলুক, হোক কিছু বই বা মানুষ পাঠ, সেবা, প্রেম আর আলোর সঙ্গে ভালো বিকাশের আলাপন, চর্চায়, মননে-চিন্তায় হোক পরম প্রেমের চাষাবাদ।
পার্থিব সাফল্য থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বেঁচে আছেন গভীর শূন্যতা বুকে নিয়ে। তবে আশা আছে। আছে মুক্তির পথও। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ সততই উন্মুক্ত, আশার প্রদীপ চিরকালই দেদীপ্যমান।
পার্থিব সাফল্য থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বেঁচে আছেন গভীর শূন্যতা বুকে নিয়ে। তবে আশা আছে। আছে মুক্তির পথও। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ সততই উন্মুক্ত, আশার প্রদীপ চিরকালই দেদীপ্যমান।
পার্থিব সাফল্য থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বেঁচে আছেন গভীর শূন্যতা বুকে নিয়ে। তবে আশা আছে। আছে মুক্তির পথও। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ সততই উন্মুক্ত, আশার প্রদীপ চিরকালই দেদীপ্যমান।
ছোট থেকে বড় সুফি নির্ভর সুস্থ জীবন গড়ুন
আখলাক ও রুহানিয়াতের অনুপস্থিতি আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিরাট অস্থিরতা তৈরি করেছে। প্রশান্তিময় জীবন ও সুন্দর সমাজ পরিগঠনে আখলাকের ছায়ায় আমাদের প্রাণকে সতেজ করে নিতে হবে। রুহানিয়াতের সুপেয় পানিতে মেটাতে হবে আমাদের পিপাসা । সুফি সেন্টার আমাদের প্রাণের সেই তিয়াস মেটাতে সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।